উদ্ভিদের অভিস্রবনের পরীক্ষা
◼দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবন একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দারা পৃথক থাকলে দ্রাবক পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় কম ঘনত্বের এলাকা থেকে বেশী ঘনত্বের এলাকায় প্রবেশ করে তাকে অভিস্রবন বলে।
১. একটা বড় গোলআলু,
২. একটি বীকার,
৩. একটি ব্লেড,
৪. পানি,
৫. পরিমাণ মতো চিনির দ্রবন ও
৬. একটি আলপিন ।
কার্যপদ্ধতি ;
১. প্রথমে আলুটির খোসা ছাড়িয়ে ব্লেড দিয়ে দুই মাথা সুরু করে কাটি ।
২. এক মাথায় একটি গর্ত করে চিনির দ্রবন দিয়ে গর্তটি অর্ধেক পরিমাণ ভর্তি করি ।
৩. বাইরে থেকে একটি গর্ত করেচিনির দ্রবন দিয়ে গর্তটি আর্ধেক পরিমাণ ভর্তি করি ।
৪. বিকারে কিছু পানি নিই ।
৫.এবার গর্তের মুখ উপরের দিকে রেখে আলুটিকে বীকারের পানিতে যোগ করি । লক্ষ রাখি আলুটি যেন ডুবে না যায় ।
৩ . তাই প্রক্রিয়াটি হল কোষ থাকে কোষের অভিস্রবন প্রক্রিয়া ।
উদ্ভিদের প্রস্বেদন পরীক্ষা
◼উদ্ভিদ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় তার দেহ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বের করে দেয়৷
উপকরণ ; টবসহ একটি সতেজে উদ্ভিদ, একটি কাচের বেলজার বা বড় ও সরু সেলোফেন ব্যাগ, সুতা বা ক্লিপ এবং পানি।
পদ্ধতি ;
১. প্রথমে টবসহ গাছটিকে টেবিলের উপর বসিয়ে দিতে হবে এবং টবে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিই।
২. এবার কিছু পাতাসহ একটি শাখাকে সেলোফেন ব্যাগ দিয়ে মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে বা ক্লিপ দিয়ে আটকে অথবা বেলজার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৩. খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিতরের বাষ্প বের হতে বা বাইরে বাতাস ঢুকতে না পারে।
৪. এ অবস্থায় টবটি এক ঘন্টা রেখে দিই।
পর্যবেক্ষণ ; এক ঘন্টা পর দেখা যাবে যে, সেলোফেন ব্যাগের ভিতরের গায়ে পানির ফোঁটা জমে আছে এবং পুরো ব্যাগটি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
সিধান্ত ; যেহেতু সেলোফেন ব্যাগে অন্য কোন পানি ঢোকার সুযোগ ছিল না তাই ঐ পানির কণাগুলো যে পাতা থেকেই বেরিয়েছে তা সহজে বলা যায়। এতে প্রমাণিত হলো যে, উদ্ভিদ তার বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে পানি বাষ্পাকারে দেহের বাইরে বের করে দেয়।
সতর্কতা ; ১. টবের উদ্ভিদটি অবশ্যই সতেজ হতে হবে।
২. সেলোফেন ব্যাগের মুখ ভালোভাবে বেঁধে বায়ু বিরোধী করতে হবে।