ভিওি করে।গ্রমীন সমাজ জোটবদ্ধ সমাজ এ সমাজের
সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সবাই একসাথে হয়ে থাকে ।
কেউ বিপদে পড়লে অন্যরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ।
গ্রমীণ জীবনের সুখ ; বাংলাদেশের গ্রামগুলো অতীতকালে অন্যরকম ছিল । এক কথায় তাকে বলা হতো সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল বাংলা । মানুষে মানুষে সম্প্রীত ছিল । পারিবারিক ও আত্নীয়তার সুএে
আবদ্ধ হয়ে গ্রামের মানুষ এক-একটি অঞ্চলে বসতি গড়েছিল । জনসংখ্যাও এত বেশী ছিল না । অভাব-অনটন, হাহাকার এতটা প্রকট ছিল না । মোটামুটি সচ্ছল, সুখী ছিল গ্রামের মানুষ । বর্তমানে গ্রামের সেই অবস্থা আর নেই ।
গ্রামীণ জীবনের দুঃখ ; জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপে ভেঙে গেছে গ্রামের সেই ঐতিহ্যময় সুখী পারিবারিক জীবন । সেখানে সেই সম্প্রীতি আর নেই । শিক্ষিত গ্রামের ছেলেটি পড়ালেখা শেষ করে চাকরি পাওয়ার পর পরিবার নিয়ে আর গ্রামে থাকছে না । ফলে আগের মতোই অশিক্ষিত বা সল্প-শিক্ষিতরাই গ্রামে থাকছে । ভেঙে পড়া পথ-ঘাট, বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,
অশিক্ষা, অচিকিৎসা, আর অন্ধকার – এ সবই জগদ্দল পাথরের মতো গ্রামীণ জীবনের দুঃখ হয়ে চেপে বসে আছে আজো ।
আটষট্টি হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে – এ কথা অতীব সত্য । সুতরাং গ্রামকে অবহেলা করে কখনো
দেশকে উন্নয়ন করা সম্ভব নয় । গ্রামীন জীবনে যেমন
সুখকর অনেক সংস্কৃতি আছে, তেমনি অনেক কুসংস্কার, কু-প্রথা চালু রয়েছে । তাই বলা যায় গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ দু-ই বিরাজমান ।